ঘরের সাজে পর্দা........

07/01/2019

ঘরের পর্দা অনেকটাই বদলে দিতে পারে ঘরের সৌন্দর্য। তাই পর্দা কেনার আগে আপনার ঘর কেমন এবং সেখানে কোন ধরনের পর্দা মানাবে সে সম্পর্কিত একটি আলোচনা বেশ সহায়ক অবস্থা তৈরি করবে। এছাড়া সব ঘরে একই ধরনের পর্দার বদলে একেক ঘরে একেক রকমের পর্দা বেশ বৈচিত্র নিয়ে আসে বাসার সাজে। রইলো সেই সব বিস্তারিত বিষয়েই আলোকপাত।

বৈঠকখানা

বসার ঘরটা দেখেই সবার রুচি সম্পর্কে জানা হয়ে যায়। তাই এই ঘরটির পর্দা নির্বাচনে একটু সচেতন আপনাকে থাকতেই হবে। বসার ঘরের পর্দা দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারেন। হতে পারে সেটা ভেলভেট, সিল্ক, সার্টিন, জর্জেট অথবা কাতান কাপড়ের পর্দা। বসার ঘরের পর্দা একেবারে ছোট না করে ঝালরের অংশ মেঝে পর্যন্ত টানতে পারেন। বসার ঘরে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করলেই বেশি ভালো দেখাবে।বাজারে যেমন আপনি এক রঙের বা প্রিন্টেড পর্দা দুটোই পাবেন। হতে পারে সেটা হালকা খয়েরি, সোনালি, হালকা সবুজ, গোলাপি, নীল, চকলেট, বাদামি, কমলা, সাদা, হালকা বাদামি, হালকা হলুদ ইত্যাদি রঙের। চাইলে ঘরের আসবাব ও দেয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেও পর্দার রঙ নির্বাচন করতে পারেন।বসার ঘরটাকে যদি দেশিয় উপকরণে সাজাতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন রাজশাহী সিল্ক, মটকা, ডুপিয়ান কাপড়ের পর্দা। টাঙ্গাইল শাড়ির পাড় বা বেনারসির আঁচল কেটে পর্দায় লেসের মতো
করে ডিজাইন করতে পারেন। বসার ঘরটি যদি বড় ও আধুনিক সব আসবাবপত্রে সজ্জিত হয়, তবে ব্যবহার করতে পারেন ভিক্টোরিয়ান পর্দা। ছোট ড্রইংরুমে বাহারী পেলমেন্টের সঙ্গে এক লেয়ারের বা দুই লেয়ারের পর্দা বেশি মানায়। সেখানে ঝালর না থাকলেই ভালো। এক রঙের পর্দার নিচে অ্যাপ্লিকের হালকা কাজ থাকতে পারে। ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে লেস বা কুচি দিয়ে ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারেন। বসার ঘরের আসবাব যদি কালো রঙের থাকে, তাহলে মেরুন বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। আর আসবাব বেশি গর্জিয়াস না হলে পর্দায় উজ্জ্বল রঙ নিয়ে আসা জরুরি।

শয়নকক্ষ

এটি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রশান্তির যায়গা। তাহলে কেন এখানে আভিজাত্য থাকবে না! অবশ্যই থাকবে। শোবার ঘরের রাখতে পারেন আভিজাত্যময় ভারী পর্দা। আপনার একান্ত শোবার ঘরটির পর্দা হতে পারে হালকা গোলাপি, সাদা, অফ-হোয়াইট। শোবার ঘরে একটু মোটা কাপড়ের পর্দা হওয়াই ভালো। খাদি, পাটের কাপড় বা চেকের কাপড় হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। আজকাল ঘর সাজাতে কুচি বা সমান দু'ধরনের পর্দার চলই দেখতে পাওয়া যায়। শোবার ঘরে বেডকভারের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দায় হ্যান্ডপেইন্ট বা ব্লকের কাজ করিয়ে নিতে পারেন। বেশ কয়েকটি মিশানো রঙের পর্দাও রাখতে পারেন। তাহলে যে কোনো বিছানার কভারই মানিয়ে যাবে বেশ।

শিশুর রাজ্যে

শিশুদের মন সবসময় তার চারপাশে খোঁজে রূপকথা। রংধনুর সাত রঙের খেলা যদি পর্দায় থাকে তাহলে শিশুরা বেশি খুশি হয়ে ওঠে। শিশুর ঘরটিতে পছন্দের কার্টুন, রূপকথার ছবি আঁকা পর্দা বেঁছে নিতে পারেন চোখ বন্ধ করে। তবে বাচ্চাদের ঘরের পর্দা রেডিমেড না কিনে একটু কষ্ট করে নিজেরা বানিয়ে নেয়াই ভালো। পর্দা ঝোলানোর পেলভেটের ওপর ছয় থেকে আট ইঞ্চি ফ্রিল করা যেতে পারে। এতে বেশ আকর্ষণীয় দেখাবে ঘর।

ভোজনশালা

খাওয়ার ঘরে হালকা রঙের পর্দা হলে ভালো। যেখানে বসে খাবেন সেই যায়গাটাতে যদি পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকে তাহলে খাবার সময়টুকু একটু ভালোভাবে কাটানো সম্ভব হবে। তাই খাবার ঘরে হালকা কোনো পর্দা ঝুলিয়ে দিন। যেমন সৌন্দর্য বাড়বে তেমন আলোর চাহিদাও পূরণ হবে। এখানে সিনথেটিক পর্দা ব্যবহার করা ভালো। হতে পারে সেটা অফ হোয়াইট রঙের। হালকা রঙ ও হালকা ধরনের প্রিন্ট ভোজনশালায় নিয়ে আসবে সতেজতা। চাইলে টেবিল ক্লথের সঙ্গে মিলিয়েও পর্দা লাগাতে পারেন।

স্নান ঘর

স্নান ঘরে পর্দা ব্যবহারের ট্রেন্ডও চলে এসেছে বর্তমানে। একটা হালকা পর্দা স্নানঘরে লাগাতে পারেন। হালকা নেটজাতীয় কাপড় ও রঙ নির্বাচন করুন। অবশ্য ফিটিংসের সঙ্গে মিলিয়ে বাথরুমে প্লাস্টিকের পর্দা দিতে পারেন। এতে বারবার পর্দা ভিজলেও অসুবিধা হবে না।

রন্ধনশালা

রান্নাঘরে পর্দা লাগাতে চাইলে পুরো জানালায় না লাগিয়ে অর্ধেক জানালা জুড়ে লাগান। রান্নার ধোঁয়া সহজে বাইরে যেতে পারবে। ফলমূল বা সবজির প্রিন্ট থাকলে বেশ আকর্ষণীয় দেখাবে।

কোথায় পাবেন পর্দা: অনেকে আছেন রেডিমেড পর্দা কিনে নেন তবে বেশির ভাগেরই পছন্দ নিজের পছন্দ আর রুচির সাথে মিল রেখে কাপড় কিনে পর্দা বানানো। মেসার্স মনোহরদী বেডিং ষ্টোর , উপজেলা মোড়, নরসিংদী সদর, নরসিংদী, এখানে পাবেন নানা রকম সুতার কাজ, ব্লক প্রিন্ট আর টাইডাই করা পর্দা। 

Create your website for free! This website was made with Webnode. Create your own for free today! Get started