যেমন ঘর তেমন পর্দা.....
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের 'ব্যবহারিক শিল্পকলা' বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইসমত জাহান বলেন, "পর্দা ঘরের আব্রু রক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়ায়। একটু বুঝেশুনে পর্দা কেনা হলে তা ঘরের পুরো আদলই বদলে দেয়।"
তিনি পর্দা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার কথা বলেন, যেমন- কোন ঘরের জন্য পর্দা, ঘরের মাপ কেমন, আকার কেমন ইত্যাদি।
পাশাপাশি কোন ঋতুতে পর্দা কেনা হবে তা বিবেচনাও বুদ্ধিমানের কাজ।
ঘরের আকার বুঝে পর্দা নির্বাচন করা প্রয়োজন। ঘর যদি বড় হয় তাহলে যে কোনো রং ও নকশা বেছে নিতে পারেন। জ্যামিতিক রেখার প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকলে জিক-জ্যাক বা আঁকাবাঁকা রেখার নকশা করা পর্দা লাগাতে পারেন।
আর প্রিন্টের পর্দা লাগাতে চাইলে বড় ছাপা বা অনেক রংয়ের সংমিশ্রণ বিশিষ্ট পর্দা বেছে নিতে পারেন বলে জানান তিনি।
আর যদি ঘরের মাপ ছোট হয় তাহলে হালকা রংয়ের ও হালকা নকশার পর্দা দেখতে ভালো লাগে, এতে ঘর বড় মনে হয় ও স্বস্তিবোধ হয়।
ঢাকা শহরের সব ঘরই চারকোনাকার হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্প জমির উপর বাড়ি তৈরি করায় তা কয়েক কোনা বিশিষ্ট অথবা তির্যক আকৃতির হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ঘরে হালকা রংয়ের ও হালকা নকশা বিশিষ্ট পর্দা লাগাতে পারেন।
জ্যামিতিক নকশার ক্ষেত্রে আড়াআড়ি বা তির্যক নকশার ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালের রংয়ের সঙ্গে মানানসই রংয়ের হালকা নকশা বিশিষ্ট পর্দা এই ধরনের ঘরে দেখতে ভালো লাগে।
কোন ঘরে পর্দা লাগানো হচ্ছে তা ভেবে দেখার মতো একটি বিষয়।
সাধারণত বসার ঘরের পর্দা একটু হালকা রংয়ের হলে তা বিশ্রাম নিতে বেশ সাহায্য করে। খুব বেশি রংচঙে বা হিজিবিজি নকশার পর্দা লাগানো হলে তা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ও বিশ্রামে ব্যঘাত ঘটায়।
বসার ঘরে একটু রঙিন ও উজ্জ্বল রংয়ের পর্দা বেশ মানানসই। বাসায় যদি বয়স্ক কেউ থাকেন তার ঘরের পর্দায় হালকা রংকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। সাদা অথবা আকাশি রংয়ের পর্দা বেশ মানানসই।
ছোট শিশুদের ঘরের পর্দা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রংকে প্রাধান্য দিন। শিশুরা পছন্দ করে এমন কার্টুন চরিত্র, ফুল, পাতা, মাছ ইত্যাদির নকশা করা পর্দা লাগাতে পারেন।
পর্দা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ঋতুর কথা মাথায় রাখা উচিত। শীতের সময় একটু মোটা কাপড়ের পর্দা বেছে নিলে ভালো হয়। এসময় কেউ চাইলে গাঢ় রংয়ের পর্দা লাগাতে পারে।
ভারী পর্দা ধোয়া বেশ ঝামেলা। তাই দুএকদিন পর পর পর্দা ঝাড়মোছ করা ভালো।
কেউ চাইলে দুই স্তরের পর্দা লাগাতে পারেন, বাইরের স্তরে ভারী পর্দা আর ভিতরের স্তরে হালকা নেটের পর্দা। এতে ঘরকে বেশ আভিজাত্যপূর্ণ ও গোছানো মনে হয়।
তবে মনে রাখতে হবে, এই ধরনের পর্দার বেশি যত্ন নিতে হয়। নাহলে ধুলাবালি জমে এবং মশার আবাসস্থল তৈরি হয় বলে জানান ইসমত জাহান।